ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

চর কুকরি মুকরি: বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ও সৌন্দর্যের অনন্য ঠিকানা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ১২:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 63

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মোহনায় বিস্তীর্ণ এক চর, নাম চর কুকরি মুকরি। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ দ্বীপটি শুধু পর্যটকদের নয়, বন্যপ্রাণীর জন্যও এক স্বর্গভূমি। দেশি-বিদেশি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য চর কুকরি মুকরি হয়ে উঠেছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।

প্রকৃতির অপরূপ দান

চর কুকরি মুকরির আয়তন প্রায় ৩৭,০০০ একর। এখানে রয়েছে ঘন ম্যানগ্রোভ বন, বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত, এবং নদীখাত। এই চরের মাটিতে জন্ম নিয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গরানসহ নানা ধরনের বৃক্ষ, যা এখানকার জীববৈচিত্র্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য

২০০৩ সালে সরকার চর কুকরি মুকরিকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করে। এখানে হরিণ, বন্যশুকর, নানা প্রজাতির সরীসৃপ এবং দুর্লভ পাখির দেখা মেলে। শীতকালে সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখির ঝাঁক চরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।

পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান

প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক এখানে আসেন। এখানে ক্যাম্পিং, নৌভ্রমণ ও ফটোগ্রাফির জন্য রয়েছে অপার সুযোগ। সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ, হরিণের চলাচল ও বনের শীতল বাতাস পর্যটকদের মুগ্ধ করে রাখে।

কীভাবে যাবেন

চর কুকরি মুকরিতে যেতে হলে প্রথমে ভোলা বা বরিশাল থেকে লঞ্চে চরফ্যাশন যেতে হয়। এরপর চরফ্যাশন থেকে ট্রলারে করে সরাসরি পৌঁছানো যায় এই নয়নাভিরাম চরে।

সংরক্ষণ প্রয়োজন

অবাধ বৃক্ষনিধন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে এখানকার প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়ছে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রকৃতিপ্রেমী ও অভিযাত্রীদের জন্য চর কুকরি মুকরি নিঃসন্দেহে এক স্বপ্নের জায়গা। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মাধ্যমে এ চরের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব।

 

তৃতীয় চোখ/এসআই

চর কুকরি মুকরি: বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ও সৌন্দর্যের অনন্য ঠিকানা

আপডেট : ১২:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মোহনায় বিস্তীর্ণ এক চর, নাম চর কুকরি মুকরি। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ দ্বীপটি শুধু পর্যটকদের নয়, বন্যপ্রাণীর জন্যও এক স্বর্গভূমি। দেশি-বিদেশি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য চর কুকরি মুকরি হয়ে উঠেছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্য।

প্রকৃতির অপরূপ দান

চর কুকরি মুকরির আয়তন প্রায় ৩৭,০০০ একর। এখানে রয়েছে ঘন ম্যানগ্রোভ বন, বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত, এবং নদীখাত। এই চরের মাটিতে জন্ম নিয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গরানসহ নানা ধরনের বৃক্ষ, যা এখানকার জীববৈচিত্র্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য

২০০৩ সালে সরকার চর কুকরি মুকরিকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করে। এখানে হরিণ, বন্যশুকর, নানা প্রজাতির সরীসৃপ এবং দুর্লভ পাখির দেখা মেলে। শীতকালে সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখির ঝাঁক চরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।

পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান

প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক এখানে আসেন। এখানে ক্যাম্পিং, নৌভ্রমণ ও ফটোগ্রাফির জন্য রয়েছে অপার সুযোগ। সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ, হরিণের চলাচল ও বনের শীতল বাতাস পর্যটকদের মুগ্ধ করে রাখে।

কীভাবে যাবেন

চর কুকরি মুকরিতে যেতে হলে প্রথমে ভোলা বা বরিশাল থেকে লঞ্চে চরফ্যাশন যেতে হয়। এরপর চরফ্যাশন থেকে ট্রলারে করে সরাসরি পৌঁছানো যায় এই নয়নাভিরাম চরে।

সংরক্ষণ প্রয়োজন

অবাধ বৃক্ষনিধন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পর্যটকদের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে এখানকার প্রকৃতি হুমকির মুখে পড়ছে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রকৃতিপ্রেমী ও অভিযাত্রীদের জন্য চর কুকরি মুকরি নিঃসন্দেহে এক স্বপ্নের জায়গা। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মাধ্যমে এ চরের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব।

 

তৃতীয় চোখ/এসআই