ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

প্রধান শিক্ষক অপসারণে ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থী-অভিভাবক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৫:৫০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 86

পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার কাশীনাথপুরের জনপ্রিয় শিক্ষাবিদ ও কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার কে.এম. নাহিদুজ্জামান পরাগকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি রাতে আকস্মিকভাবে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

২৭শে ফেব্রুয়ারি সকালে প্রধান শিক্ষক যখন স্কুলে যান তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিতে, তখন পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তার অপসারণের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ সময় এক পরিচালক এক অভিভাবিকাকে থাপ্পড় দেওয়ার হুমকি দেন এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি উগ্র ভাষায় কথা বলেন।

এ ঘটনা মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। হল মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গার ব্যক্তিবর্গ প্রধান শিক্ষকের অপসারণে হতাশা প্রকাশ করেন। হল মার্কেটের এক কর্মচারী বলেন, “পরাগ স্যার যখন স্কুল থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন শিক্ষার্থীদের কান্না আমাদের অভিভূত করে। এমন আবেগ আমরা সচরাচর দেখি না। অনেক শিক্ষার্থী তার সঙ্গে স্কুল ছেড়ে চলে যায়।”

অভিভাবকদের অভিযোগ, পরিচালনা পর্ষদ প্রধান শিক্ষককে অপসারণের যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। জানা গেছে, পরাগ স্যার পরিচালকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়ে কিছু বার্তা পাঠান। ধারণা করা হচ্ছে, এই কারণেই তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছেন। শিক্ষামহলের অনেকে মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। এখন দেখার বিষয়, কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রধান শিক্ষক অপসারণে ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থী-অভিভাবক

আপডেট : ০৫:৫০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার কাশীনাথপুরের জনপ্রিয় শিক্ষাবিদ ও কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার কে.এম. নাহিদুজ্জামান পরাগকে ২৬শে ফেব্রুয়ারি রাতে আকস্মিকভাবে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

২৭শে ফেব্রুয়ারি সকালে প্রধান শিক্ষক যখন স্কুলে যান তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিতে, তখন পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তার অপসারণের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ সময় এক পরিচালক এক অভিভাবিকাকে থাপ্পড় দেওয়ার হুমকি দেন এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রতি উগ্র ভাষায় কথা বলেন।

এ ঘটনা মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। হল মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গার ব্যক্তিবর্গ প্রধান শিক্ষকের অপসারণে হতাশা প্রকাশ করেন। হল মার্কেটের এক কর্মচারী বলেন, “পরাগ স্যার যখন স্কুল থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন শিক্ষার্থীদের কান্না আমাদের অভিভূত করে। এমন আবেগ আমরা সচরাচর দেখি না। অনেক শিক্ষার্থী তার সঙ্গে স্কুল ছেড়ে চলে যায়।”

অভিভাবকদের অভিযোগ, পরিচালনা পর্ষদ প্রধান শিক্ষককে অপসারণের যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। জানা গেছে, পরাগ স্যার পরিচালকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়ে কিছু বার্তা পাঠান। ধারণা করা হচ্ছে, এই কারণেই তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছেন। শিক্ষামহলের অনেকে মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। এখন দেখার বিষয়, কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়।