ইফতারে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত

- আপডেট : ১১:৪২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
- / 34
রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। দীর্ঘসময় উপবাসের পর শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি পুনরুদ্ধারের অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু অনেক সময় আমরা ইফতারে এমন কিছু খাবার গ্রহণ করি, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য কিছু বিশেষ খাবার ইফতারে এড়িয়ে চলা উচিত।
১. ভাজাপোড়া খাবার
ইফতারে চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি, সমোচা ইত্যাদি ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে এই ধরনের খাবার উচ্চমাত্রার তেল ও চর্বি সমৃদ্ধ, যা পাকস্থলীতে গ্যাস, অম্লতা ও হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
২. অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার
রোজার পর শরীরে শর্করার ঘাটতি হতে পারে, তাই অনেকেই ইফতারে মিষ্টি খাবার বেশি খেয়ে ফেলেন। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়িয়ে দিতে পারে এবং পরবর্তীতে দ্রুত কমে যাওয়ার ফলে ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত কোল্ড ড্রিংকস
অনেকে ইফতারে কোমল পানীয় পান করে থাকেন, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের পানীয়তে উচ্চমাত্রার চিনি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকে, যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৪. অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
ইফতারে অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার যেমন প্যাকেটজাত চিপস, প্রক্রিয়াজাত খাবার বা আচারের পরিমাণ বেশি হলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এটি রোজার পরের সময় শরীরকে দুর্বল ও ক্লান্ত করে তুলতে পারে।
৫. খুব বেশি চা বা কফি
চা বা কফি ক্যাফেইন সমৃদ্ধ, যা শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে এবং পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে সাহরিতে চা বা কফি পান করলে সারাদিন বেশি পানিশূন্যতা অনুভূত হতে পারে।
সুস্থ ও পুষ্টিকর ইফতারের জন্য করণীয়
ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেজুর, পানি, ফলমূল, সবুজ শাকসবজি, ডাল, গ্রিলড বা সিদ্ধ খাবার এবং হালকা স্যুপ গ্রহণ করা ভালো। এই ধরনের খাবার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।
সঠিক খাবার বাছাইয়ের মাধ্যমে আমরা সুস্থ ও সক্রিয় থেকে রমজানের ইবাদত যথাযথভাবে পালন করতে পারি।
তৃতীয় চোখ/এসআই